স্বাগতম Asr Online Shop ভিজিট করার জন্য
১০০% অরজিনাল তেতেুল কাঠের ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল । এতে আছে প্রচুর ওমেগা -৩ এবং ওমেগা -৬ ফ্যাটি অ্যাসিড ও রয়েছে, যা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য
সরিষার তেলে উচ্চ পরিমানে ভিটামিন E থাকে, যা একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে। এবং সরিষার তেল কিছু পরিমাণ ভিটামিন K থাকে যা রক্তের জমাট বাধা ও হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।এই ফ্যাটি এসিডগুলি শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ সহায়ক।
তেতেুল কাঠের ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল ৫ লিটার
দাম মাত্র =১৩৫০/-টাকা।
অর্ডার করার জন্য, নিচের ফর্মটি সম্পূর্ণ পূরণ করুন
কাঠের ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল সর্ম্পকে জানতে নিচের লেখা গুলো পড়ুন
সরিষার তেল, যা মাষ্টার্ড অয়েল নামেও পরিচিত, তার অনেক গুনাবলি রয়েছে। নিচে সরিষার তেলের কিছু প্রধান গুনাবলি তুলে ধরা হলো:
1.হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী:
- সরিষার তেলে মোনো-আনস্যাচুরেটেড এবং পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
- এটি খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমাতে এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়াতে সাহায্য করে।
2.অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল:
- সরিষার তেলে থাকা অ্যালিল আইসোথিওসায়ানেট এবং অন্যান্য যৌগ অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুনাবলি প্রদান করে।
- এটি ত্বকের সংক্রমণ এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়:
- সরিষার তেলে থাকা গ্লুকোসিনোলেট ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
- এটি ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি কমাতে কার্যকর হতে পারে।
- ত্বক ও চুলের যত্নে উপকারী:
- সরিষার তেল ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
- চুলের বৃদ্ধি এবং খুশকি কমাতে সরিষার তেল কার্যকরী।
- সংযম ও হজমশক্তি বাড়ায়:
- সরিষার তেল পাকস্থলীর জন্য উপকারী এবং হজম প্রক্রিয়া সহজ করে।
- এটি খাবার খাওয়ার পর অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে।
- প্রাকৃতিক পেইন রিলিভার:
- সরিষার তেল পেশী এবং জয়েন্টের ব্যথা কমাতে ব্যবহৃত হয়।
- মেসাজের জন্য সরিষার তেল ব্যবহারে আরাম পাওয়া যায়।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য:
- সরিষার তেলের ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- প্রাকৃতিক পেস্টিসাইড:
- সরিষার তেল প্রাকৃতিক পেস্টিসাইড হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি গাছের পোকামাকড় থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
- ম্যাসাজ ও অ্যারোমাথেরাপি:
- সরিষার তেল ম্যাসাজের জন্য খুবই জনপ্রিয়। এটি ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে এবং পেশী শিথিল করতে সহায়ক।
- অ্যারোমাথেরাপিতে সরিষার তেল ব্যবহার করা যেতে পারে, যা মানসিক শান্তি ও আরাম প্রদান করে।
- ঠান্ডা ও কাশির উপশম:
- সরিষার তেল গরম করে বুকে মালিশ করলে ঠান্ডা ও কাশি কমাতে সাহায্য করে।
- নাক বন্ধ হলে সরিষার তেলের গরম ভাপ নিতে পারেন, যা নাসারন্ধ্র খুলতে সাহায্য করে।
- মশা ও কীটপতঙ্গ প্রতিরোধক:
- সরিষার তেলের গন্ধ মশা ও অন্যান্য কীটপতঙ্গ দূরে রাখে।
- ঘরে সরিষার তেল জ্বালালে মশা কম আসে।
- দাঁতের স্বাস্থ্য:
- সরিষার তেলে কিছুটা লবণ মিশিয়ে দাঁতে ও মাড়িতে মালিশ করলে দাঁতের ব্যথা ও মাড়ির ইনফেকশন কমে।
- এটি মাড়ি মজবুত করতে সাহায্য করে এবং দাঁতের প্লাক কমাতে সহায়ক।
- সুরক্ষা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে:
- সরিষার তেল প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসেবে কাজ করতে পারে।
- এটি ত্বকের কালো দাগ ও ফাটা ঠোঁটের সমস্যার সমাধান করতে সহায়ক।
- অন্যান্য পুষ্টি উপাদান:
- সরিষার তেলে ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী।
- এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ:
- সরিষার তেল ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়াতে পারে, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি:
- সরিষার তেল ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের কালো দাগ এবং ব্রণর দাগ কমাতে পারে।
- জ্বর কমাতে সাহায্য:
- সরিষার তেল গরম করে পায়ে মালিশ করলে এবং গরম জলে মিশিয়ে পায়ে ডুবিয়ে রাখলে জ্বর কমাতে সাহায্য করে।
- ঘামের সমস্যা সমাধানে:
- যাদের অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা রয়েছে, তারা সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বকের ঘাম কমাতে সাহায্য করে।
- গর্ভাবস্থায় উপকারী:
- গর্ভাবস্থায় সরিষার তেল মালিশ করলে প্রসবের সময় পেশী শিথিল থাকে এবং প্রসব সহজ হয়।
- ক্ষুধা বৃদ্ধি:
- সরিষার তেল খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে এবং এটি হজমে সহায়ক, ফলে ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে।
- ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা:
- সরিষার তেল ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করতে সহায়ক। এটি শীতকালে ত্বকের শুষ্কতা কমাতে ব্যবহৃত হয়।
- অ্যান্টি-এজিং:
- সরিষার তেলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি ত্বকের বার্ধক্য রোধ করতে সহায়ক। এটি ত্বকের সূক্ষ্ম রেখা এবং বলিরেখা কমাতে পারে।
- শিশুদের যত্ন:
- শিশুদের ত্বক মোলায়েম ও কোমল রাখতে সরিষার তেল ব্যবহার করা হয়। এটি শিশুদের শরীরে ম্যাসাজ করার জন্য ভালো।
- অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্ট:
- সরিষার তেল গরম করে বুকে মালিশ করলে শ্বাসকষ্ট এবং অ্যাজমা উপশমে সহায়ক হতে পারে।
- পোকামাকড়ের কামড়ের চিকিৎসা:
- সরিষার তেল পোকামাকড়ের কামড়ে আরাম দেয় এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- উদ্দীপক হিসেবে কাজ:
- সরিষার তেল উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সহায়ক।
- হাড়ের যত্ন:
- সরিষার তেল ম্যাসাজ করলে হাড় ও জয়েন্টের শক্তি বাড়ায় এবং বাতের ব্যথা কমাতে সহায়ক।
- নখের যত্ন:
- সরিষার তেল নখের যত্নে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি নখের ভঙ্গুরতা কমাতে এবং নখ মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
সরিষার তেল ব্যবহারের অনেক উপকারিতা রয়েছে, তবে কিছু মানুষের ত্বকে অ্যালার্জি হতে পারে। তাই প্রথমে একটু পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। এছাড়া, গর্ভবতী মহিলাদের ও বিশেষ ধরনের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আগে থেকে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সরিষার তেলের উৎপাদন একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। সরিষা থেকে তেল উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন ধাপ রয়েছে, যা নিচে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো:
১. সরিষা সংগ্রহ ও পরিষ্কারকরণ:
- সরিষা সংগ্রহ: সরিষা বীজ পাকা হলে সেগুলি সংগ্রহ করা হয়।
- পরিষ্কারকরণ: সংগ্রহকৃত সরিষা বীজ থেকে ধূলা, ময়লা এবং অন্যান্য অমেধ্য দূর করা হয়। এজন্য বিভিন্ন যান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় যেমন সিভিং এবং ব্লোয়িং।
২. শুকানো:
- পরিষ্কার করা সরিষা বীজ শুকানো হয় যাতে বীজের আর্দ্রতা কমে যায় এবং তেল নিষ্কাশন সহজ হয়। সাধারণত সূর্যের আলোতে শুকানো হয়, তবে বড় উৎপাদনকারীরা ড্রায়ারও ব্যবহার করতে পারে।
৩. ভাঙা:
- শুকানো সরিষা বীজ মেশিনে বা পাথরের চাকার মাধ্যমে ভাঙা হয়। এই প্রক্রিয়ায় সরিষার বীজ থেকে তেলের কোষগুলি ভেঙে যায়।
৪. তেল নিষ্কাশন:
সরিষা থেকে তেল নিষ্কাশনের জন্য প্রধানত দুটি পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়:
- প্রেসিং (মেশানিক্যাল প্রেসিং):
- সরিষা বীজগুলি একটি তেল প্রেস মেশিনে রাখা হয় যেখানে উচ্চ চাপ প্রয়োগ করে তেল বের করা হয়।
- প্রাথমিক প্রেসিংয়ের পর বীজ থেকে ১৫-৩০% তেল থেকে যায় যা সাধারণত দ্বিতীয় প্রেসিংয়ের মাধ্যমে নিষ্কাশন করা হয়।
- সোলভেন্ট এক্সট্র্যাকশন:
- যেসব কারখানায় বেশি পরিমাণে তেল উৎপাদন করা হয়, সেখানে সোলভেন্ট এক্সট্র্যাকশন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
- এখানে সরিষা বীজগুলি হেক্সেন বা অন্য কোনো সোলভেন্টে ভিজিয়ে রেখে তেল নিষ্কাশন করা হয়। পরে সোলভেন্ট বাষ্পীভূত করে তেল সংগ্রহ করা হয়।
৫. তেল পরিশোধন:
- ফিল্টারিং: নিষ্কাশিত তেল ফিল্টার করে পরিষ্কার করা হয় যাতে তেলের মধ্যে থাকা অমেধ্য দূর হয়।
- রিফাইনিং: কিছু তেল রিফাইনিং পদ্ধতির মাধ্যমে পরিশোধিত হয় যাতে এর স্বাদ, গন্ধ এবং রঙ উন্নত হয়।
৬. প্যাকেজিং:
- পরিশোধিত তেল পাত্রে ভরা হয় এবং প্যাকেজিং করা হয়। বিভিন্ন ধরনের বোতল, টিন বা কন্টেইনারে তেল সংরক্ষণ করা হয়।
৭. সংরক্ষণ ও বিতরণ:
- প্রস্তুতকৃত তেল সংরক্ষণ করা হয় এবং বাজারে বিতরণের জন্য প্রস্তুত করা হয়।
সরিষার তেল উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় কিছু বিশেষ বিষয়:
- তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ: তেল নিষ্কাশনের সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বেশি তাপ সরিষার তেলের পুষ্টিগুণ নষ্ট করতে পারে।
- পরিষ্কার পরিবেশ: উৎপাদন প্রক্রিয়ার সময় পরিষ্কার পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি যাতে তেলের গুণগত মান বজায় থাকে।
- গুণগত মান পরীক্ষা: তেলের গুণগত মান নিয়মিত পরীক্ষা করা হয় যাতে এটি খাওয়ার উপযোগী হয়।
এইভাবে সরিষা থেকে তেল উৎপাদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
আমাদের উপর কেন আস্থা রাখবেন ?
- প্রোডাক্ট হাতে পেয়ে, দেখে,কোয়ালিটি চেক করে পেমেন্টে করার সুবিধা ।
- প্রোডাক্ট পছন্দ না হলে সাথে সাথে রিটার্ন দিতে পারবেন ।
- সারা বাংলাদেশে কুরিয়ারের মাধ্যমে হোম ডেলিভারি পাবেন।
- যে কোন সময় আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন ।